Wednesday, October 20, 2021

Black Kite

 

Black Kite/চিল

চিল নামেই এই পাখিকে আমরা চিনি তবে এই পাখির

আরো কিছু বাংলা নাম আছে যেমন - ভুবন চিল, বাদামি চিল, গোদা চিল, ডোম চিল, চিলা ।

ইংরেজি: Black Kite

মজার ব্যাপার হলো

আকাশে কোন পাখি উড়তে দেখলেই আমরা ভাবি এটা চিল , এমন পাখির অনেক প্রজাতি আছে আমাদের দেশে। দুই মেরু আর দুই আমেরিকা মহাদেশ বাদে প্রায় পুরো পৃথিবী জুড়ে এদের বিস্তৃতি।

এরা বিগত কয়েক বছরে কি হারে কমছে বা বাড়ছে সে সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায়নি। তবে এরা সন্তোষজনক সংখ্যায় রয়েছে। সেকারনে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে। পৃথিবীতে মোট ভুবন চিলের সংখ্যা আনুমানিক ১০ লক্ষ থেকে ৬০ লক্ষটি বলে বার্ডলাইফ ইন্টারন্যাশনাল উল্লেখ করেছে।

খোলা বিস্তীর্ন এলাকা ভুবন চিলের প্রিয় এলাকা। এছাড়া ঘন বন, পাতলা বন, পার্বত্য অঞ্চল, নদীর পাড়, বেলাভূমি, বন প্রান্ত, ঘাসবন, সাভানা প্রভৃতি অঞ্চলে দেখা যায়। এছাড়া বড় বড় বন্দর, শহরাঞ্চল ও গ্রামাঞ্চলেও দেখা যায়। govinda উপপ্রজাতিটি নগর এলাকায় বেশি দেখা যায়। lineatus উপপ্রজাতি আর্দ্র ও জনহীন এলাকায় ঘুরে বেড়ায়। বড় বড় গাছে এরা দলবদ্ধভাবে রাত কাটায়। ভোরে সূর্য উঠলে এরা দল বেঁধে আকাশে ওড়ে আর অনেক্ষণ ঝাঁক বেঁধে চক্রাকারে উড়ে বেড়ায়। তারপর খাদ্যের সন্ধানে বিভক্ত হয়ে যায়। সন্ধ্যা বেলায় এরা তাদের আবাসে ফিরে আসে এবং পুনরায় ভোর বেলার মত চক্রাকারে কিছুক্ষণ ওড়ে। তারপর গাছে এসে বসে পড়ে।

শীতে বিপুলসংখ্যক পরিযায়ী ভুবন চিল এসে বাংলাদেশে আবাসিক পাখির দলে যোগ দেয়। ভুবন চিল সুযোগসন্ধানী খাদক। এর খাদ্যতালিকা বেশ বিশাল। এর খাদ্যতালিকা স্থানীয় খাদ্যের যোগানের উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। পানির আশেপাশে আবাস হলে মাছই এদের প্রধান শিকার হয়। অনেকসময় এরা মৃত বা রুগ্ন মাছও খায়। আহত, মৃত বা অপ্রাপ্তবয়স্ক পাখি, স্তন্যপায়ী, ব্যাঙ, সরিসৃপ ও পোকামাকড়ও খায়। অন্য ভুবন চিল, পাখি বা প্রাণীর কাছ থেকে এরা খাবার ছিনিয়ে খায়। গ্রামে হাঁস-মুরগির ছানা ছিনতাই করতে এরা ওস্তাদ। বর্জ্যভূক পাখি হিসেবে কসাইখানা, বর্জ্য-স্তুপ, ময়লাপোঁতা, মাছবাজার ও পোতাশ্রয়ে ওরা উচ্ছিষ্ট ও বর্জ্য খায়। প্রায়ই শকুনের সাথে মিলে উচ্ছিষ্ট বা পশুর মৃতদেহ খায়।

খাদ্যের সন্ধানে এরা আকাশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অলস ভঙ্গিমায় চক্কর কেটে বেড়ায়। এরা খুব কমই ডানা ঝাপটায়। ডানার তুলনায় শরীর হালকা হওয়ায় এরা অনেক্ষণ ডানা না ঝাপটে ভেসে বেড়াতে পারে। নৌকার হালের মতো লেজ ব্যবহার করে ঝটপট দিক বদল করতে পারে। উড়তে পারে বাতাসের প্রতিকূলেও। খাদ্যের সন্ধান পেলে এরা ডানা গুটিয়ে ফেলে ও ঝাঁপ দিয়ে শিকার ধরে।

Friday, October 15, 2021

ঠাকুরগাঁও জামালপুর জমিদারবাড়ি জামে মসজিদ

 


💓ঠাকুরগাঁও জামালপুর জমিদারবাড়ি জামে মসজিদ💓

ঠাকুরগাঁও শহর থেকে পীরগঞ্জ যাওয়ার পথে, শিবগঞ্জ বিমানবন্দর অতিক্রম করে জামালপুর জমিদার বাড়ি জামে মসজিদ। শীবগঞ্জ বাজার থেকে তিন কিলোমিটার পশ্চিমে মসজিদের সামনে একটি চিত্তাকর্ষক মহান প্রবেশদ্বার রয়েছে। তাজপুর পরগনার জমিদার থেকে রওশন আলী নামে এক ব্যক্তি এই অঞ্চলে এসেছিলেন। তার বংশধররা পরবর্তীতে এখানে জমিদারি পায়। 1862 সালে, জমিদারবাড়ির ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। বাড়ির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগে 1867 সালে মসজিদ নির্মাণ শুরু হয়। ফলস্বরূপ, মসজিদের ব্যয়বহুল নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার পর জমিদার বাড়ির নির্মাণ অসমাপ্ত থেকে যায়।

মসজিদের শিল্পকর্ম দৃশ্যত আকর্ষণীয়, মনোমুগ্ধকর এবং প্রশংসনীয়। মসজিদটিতে তিনটি বড় গম্বুজ রয়েছে। কাচের পাথর তৈরির জন্য গম্বুজের উপরে কাজ করা। এই মসজিদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল মিনার। মসজিদের ছাদে রয়েছে আতিশ মঠ। প্রতিটি টাওয়ারের উচ্চতা 35 ফুট এবং প্রতিটিতে ডিজাইন করা হয়েছে। গম্বুজ ও মঠের সৌন্দর্য তৈরি হয়েছে। এ ধরনের স্মৃতিস্তম্ভ কোনো মসজিদে দেখা যাবে না। মসজিদের চারটি অংশ হল আসল কক্ষ, মূল হলের সাথে সিলিং সহ বারান্দা, ছাদ বারান্দা, এবং ছাদের বারান্দা, অর্ধ-প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত, পূর্ব দিকে, চারটি স্তম্ভযুক্ত প্রধান দরজা।

খোলা বারান্দায় এবং প্রধান দরজায় ছোট ছোট অলঙ্কার রয়েছে। প্রধান কক্ষের বাইরের দিক থেকে পরিমাপ 29 × 47 ফুট এবং ছাদ ছাড়া সোপান 21 × 47 ফুট। প্রধান ঘরের কোণ তিনটি স্তম্ভ। এর জানালা, দরজা তিনটি, কুলুঙ্গি, দুটি। মসজিদের ভিতরে দরজা, বারান্দা এবং বাইরের দেয়ালে প্রচুর চারা ও ফুলের নকশা রয়েছে। ভারতের হংসরাজ এবং উত্তরাখণ্ডের উত্তর রামশীত মসজিদের মূল কারিগর। দ্বারভাঙ্গা এলাকার কারিগররাও নির্মাণ কাজে অংশ নেয়।


Tuesday, October 12, 2021

Tangon River

The Tangon River is also known as the Tangon or Tangon River. This river flows past Thakurgaon district town. From the Indian state of West Bengal, the river enters Bangladesh through the western border of Panchagarh district. The river dries up in the winter, but has navigability in the rainy season. This bridge is built over the river Tangan.